• GAMC- Slide
  • GAMC- Slide
  • GAMC- Slide
  • GAMC- Slide
  • GAMC- Slide
  • GAMC- Slide
Principal

প্রফেসর আ. জ. ম. রেজাউল করিম খান

উপাধ্যক্ষ, শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরে গারো পাহাড়ের পাদদেশে তুলসী মালার সুগন্ধে ভরপুর শেরপুর জেলার নারী শিক্ষার সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষাদানের গুরু দায়িত্ব একনিষ্ঠভাবে পালন করে চলেছে এ প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষার্থীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ স্তর হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়। এ স্তরে সময়ের সঠিক ব্যবহার ও পরীক্ষার উপরই নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের সোনালি ভবিষ্যৎ। এমন পরিস্থিতিতে এ স্তরের শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যকে সামনে রেখে শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ নতুনভাবে ভূমিকা পালনে বদ্ধ পরিকর। রুটিন অনুযায়ী ক্লাস নিশ্চিত করে ছাত্রীদের একাডেমিক মানকে উন্নত করার সুদৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ক্লাসরুম গুলো উন্নীত করা হয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে। একজন কাউন্সিলরের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ২৫ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব, বার্ষিক সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ইত্যাদি সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মানসিক সুস্থতা, প্রযুুক্তিসংলগ্ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পরিচর্যার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

আমাদের স্বপ্ন শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজকে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা যার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসবে নিষ্ঠাবান, দায়িত্বপূর্ণ, সুশৃঙ্খল এবং কর্মজীবনের উপযোগী জ্ঞানসমৃদ্ধ শিক্ষার্থী। এ কলেজের ছাত্রীরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যদি পরিবার, সমাজ, দেশ ও সর্বোপরি মানুষের কল্যাণে আসতে পারে তবেই সার্থক হবে আমাদের সব আয়োজন ও প্রয়াস।
আমি মনে করি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম সুচারুরূপে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজন যৌক্তিক নিয়ম-কানুন। এ উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিত পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের তা অনুসরণের মাধ্যমে শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা হবে অধিকতর যুগোপযোগী।
বোর্ড নির্ধারিত পাঠ্যসূচি, তাদের শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক পটভূমি, সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম এবং পরীক্ষায় কাক্সিক্ষত ফল অর্জনের প্রচেষ্ঠা, এই সবকিছু বিবেচনায় রেখে আমাদের এই পাঠ পরিকল্পনা। আশা করছি এই পরিকল্পিত শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান নিশ্চিত করতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীরা পাঠক্রম সার্বিকভাবে অনুধাবন করতে পারবে ও উচ্চ শিক্ষা অর্জনে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।